অনেকের ওজন বেড়ে যায়, ওজন কমানোর জন্য আমরা নানা কাজ করে থাকি। অনেকে হেটে ওজন কমায় । কেওবা ব্যায়াম করে, আবার ব্যায়াম ছাড়া ৭ দিনে ওজন কমানোর বিভিন্ন সহজ উপায় অনুসরন করে । । কিন্ত কিটো ডায়েট করলে সহজেই কমানো সম্ভব ওজন। হেলদী লাইফের জন্য হেলদি ডায়েট প্ল্যান্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেখা যাচ্ছে মোটা মানুষ বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরির করছে। মোটা মানুষের ডায়াবেটিজ, ব্লাড প্রেশার, হার্ট অ্যাটাক এর মত নানা সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে। কিন্ত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিটো ডায়েট খুবই কার্যকরী। কিটো ডায়েট প্ল্যান্টে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম।

আরো পড়ুন:

কিটো ডায়েট করতে যেসকল খাবার খেতে পারেন:

কম কার্বোহাইড্রেট সবজি
কিটো ডায়েটে সবজি খেতে পারেন। বেশিরভাগ সবজিতে খুব কম কার্বোহাইড্রেট থাকে। যেমন কলা, ব্রকলি এবং ফুলকপি এবং বাঁধাকপি ইত্যাদি।

বাদাম ও বীজ
বাদাম এবং বীজ উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, রয়েছে কম কার্ব। বাদামে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। কিটো ডায়েটে বাদাম, কাজু, পেস্তা, চিয়া বীজ, শণবীজ ইত্যাদি খেতে পারেন।

দই
দইয়ে উচ্চ প্রোটিন থাকে। যদিও এতে কিছু শর্করা রয়েছে তবে এটি কিটো ডায়েটের জন্য বেশ ভালো। ১৫০ গ্রাম দইয়ে ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১১ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

মাখন
ওজন কমাতে মাখন খান, প্রচুর লো কার্ব থাকে। এটি সহজে হজম হয় তবে এটি কেবল অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।

আভাকাডো ফল
একটি মাঝারি অ্যাভোকাডো ফলে প্রায় ৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন এবং খনিজ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

নারকেল তেল
নারকেল তেলের কিটো ডায়েটের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। তেলে মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে যা মোটা মানুষের ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে

ডিম
কিটো ডায়েটের জন্য ডিম খুব ভাল। একটি ডিমের মধ্যে ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে যা লাইফস্টাইলের জন্য আদর্শ খাদ্য হতে পারে। ডিম রক্তে শর্করার মাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

সীফুড
মাছ, কাঁকড়া এবং চিংড়ি সহ সামুদ্রিক খাদ্য কিটো ডায়েটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন, পটাসিয়াম এবং সেলেনিয়াম ইত্যাদি সালমন এবং অন্যান্য মাছগুলিতে পাওয়া যায়।

মাংস
হাঁস-মুরগির মাংস কিটো ডায়েটের প্রধান খাদ্য হিসাবে ধরা হয় কারণ এগুলিতে শর্করা কম থাকে এবং বি ভিটামিন ও অনেক খনিজ সমৃদ্ধ রয়েছে।

ফল
ফল কিটো ডায়েটে খাওয়া যায় না কারণ এগুলিতে উচ্চ পরিমাণে কার্ব রয়েছে। তবে ব্ল্যাকবেরিতে কার্বের পরিমাণ বেশ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ব্ল্যাকবেরি ও রাস্পবেরিতে এমন ফাইবার থাকে যা হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here