corona-symptoms
Photo Credit: Twitter

সারাবিশ্বে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। তাই প্রতিনিয়ত আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত শরীরে হালকা জ্বর, খুশ খুশ কাশির সমস্যা দেখা দেয়।

এসব সমস্যা দেখা দিলে মনে সন্দেহ দেখা দেয়। করোনা নয় তো? কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনার প্রকাশ ঘটে জ্বরের মাধ্যমে।

তবে এসব সমস্যা দেখা দিলে আতঙ্কিত হবেন না। প্রশ্ন হলো– এমন অবস্থায় কী করবেন বা আমাদের আসলে কী করা উচিত? জ্বর হলেই কী হাসপাতালে যেতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর হলেই ভয় পাবেন না, আর হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে আপনার মাধ্যমে হাসপাতালের অন্য রোগীরাও আক্রান্ত হতে পারেন।

করোনা সন্দেহ হলে যা করবেন?

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, করোনা সন্দেহ হলে রোগীকে প্রাথমিকভাবে ঘরেই থাকতে হবে। আর এই রোগ নিয়ে মানুষ খুব আতঙ্কে রয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।

আইইডিসিআরের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথম জ্বরের লক্ষণ দেখা দেয়। জ্বরের সঙ্গে শুকনো কাশি ও গলাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে।

আর আক্রান্ত ব্যক্তির ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা ও ক্যান্সার থাকলে দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।

এই রোগের কোনো প্রতিষেধক না থাকায় প্রতিরোধে সচেতনতা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

করোনা প্রতিরোধে যা করবেন

১. করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে দুই হাত ধুতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।

২. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ ও হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

৩. অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। আর মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।

৪. জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।

৫. বিদেশ থেকে কেউ এলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

৬. জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে ফোনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে বা করোনার লক্ষণ দেখা দিলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নাক-মুখ ঢেকে (মাস্ক ব্যবহার) বাড়িতে অপেক্ষা করতে হবে। অবস্থা বেশি খারাপ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

৭. প্রয়োজনে আইইডিসিআরের করোনা কন্ট্রোলরুম (০১৭০০৭০৫৭৩৭) অথবা হটলাইন নম্বরে (০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৫৫০০৬৪৯০১-০৫) যোগাযোগ করা যাবে।

এ ছাড়া করোনাসংক্রান্ত তথ্য জানতে বা সহযোগিতা পেতে স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ এবং ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here