সারা ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিলের প্রস্তাব পাস হলো কেরালা বিধানসভায়। আজ মঙ্গলবার বিধানসভার এক দিনের বিশেষ অধিবেশনে রাজ্য সরকারের নিয়ে আসা সিএএ বাতিল করার প্রস্তাবে সম্মতি দেয় বিরোধীরাও।
Special session of Kerala Legislative Assembly takes united stand against CAA. It unanimously passed a resolution demanding cancellation of CAA. Kerala Government will not set up any detention camp and will not implement NPR or NRC.
— Thomas Isaac (@drthomasisaac) December 31, 2019
যদিও বিজেপি বিধায়ক সাবেক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজাগোপাল এদিন বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, এই আইন প্রত্যাহারের দাবি সংকীর্ণতার লক্ষণ। কিন্তু বিধানসভায় তার বিরোধিতায় কোনো প্রভাব ফেলেনি।
বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশনে প্রস্তাবটি পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রস্তাব পেশের সময় অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সিএএ চালুর অর্থই হল ধর্মের ভাদাভেদ তৈরি করা। এ আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি ও আদর্শ পরিপন্থি। নাগরিকত্ব মঞ্জুরের মধ্য দিয়ে এ আইনে বৈষম্য দেখা দেবে।”
“সংবিধানের নীতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে আইনটি সাংঘর্ষিক। দেশের মানুষের উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনা করে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার বিধান অক্ষুন্ন রাখতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি বাতিলে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
কেরালার সিপিআই বিধায়ক জেমস ম্যাথিউ, সি দিবাকরণ আজও সিএএ-এর নিন্দায় মুখর হন। তাদের মতে, সিএএ বিরোধিতার এই প্রস্তাব পাস করে কেরালা গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা দিল। কংগ্রেস নেতা ভিডি সতীশন বলেন, সিএএ, এনআরসি একই মুদ্রার দুই পিঠ। সংবিধানের ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ধারাকে ক্ষুণ্ন করছে এই আইন (সিএএ)।