বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে আমেরিকা ইরানি বিশেষ বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে। জেনারেল কাসেম ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পরিচিত ছিল।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর ‘পেন্টাগন’ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশক্রমে মার্কিন সামরিক বাহিনী বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের রক্ষার উদ্দেশে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’
আলজাজিরা জানায়, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় জেনারেল সোলেইমানিসহ আরও ছয়জন নিহত হন।এই হত্যার ঘটনার পরপরই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। এতে জেনারেল কাসেম সোলেইমানিসহ ৮জন নিহত হয়েছে।
জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার মার্কিন কংগ্রেসে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, ইরান অবশ্যই এ ঘটনার জবাব দেবে।
এক টুইটার বার্তায় তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার দ্বারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জ্বলন্ত কুপে ডায়নামাইটের লাঠি দিয়ে টস করলেন।”
The flag of General Soleimani in defense of the country’s territorial integrity and the fight against terrorism and extremism in the region will be raised, and the path of resistance to US excesses will continue. The great nation of Iran will take revenge for this heinous crime.
— Hassan Rouhani (@HassanRouhani) January 3, 2020
ইরানের সুপ্রিম লিডার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি জেনারেল কাসেমের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ” কাসেম ও অন্যদের হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। ইরানের মহান জাতি এই জঘন্য অপরাধের প্রতিশোধ নেবে ।”
The US’ act of international terrorism, targeting & assassinating General Soleimani—THE most effective force fighting Daesh (ISIS), Al Nusrah, Al Qaeda et al—is extremely dangerous & a foolish escalation.
The US bears responsibility for all consequences of its rogue adventurism.
— Javad Zarif (@JZarif) January 3, 2020
কাসেমের মৃত্যুর পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, “আমেরিকার এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস।” জেনারেল কাসিম ছিলেন আইএসআইএস এবং আল-কায়েদার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি।
১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তাকে আইআরজিসি’র কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি জেনারেল সোলেইমানি। তার জনপ্রিয়তা রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের চেয়ে বেশি ছিল ।