ইরানির প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে গত শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে ইরাকের বাগদাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
#QassemSoleimani taken to grave in American 🇺🇸 products:
…
1- MQ-9 Reaper drone ✈️
…
2- GMC Suburban 🚙 pic.twitter.com/v3bT0qs3vo— حسن سجواني 🇦🇪 Hassan Sajwani (@HSajwanization) January 4, 2020
বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোলাইমানির গাড়ি বহর বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের লক্ষ্য করে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। মুহূর্তেই গাড়ি বহর ধ্বংস হয়ে যায় ও ঘটনাস্থলেই সোলাইমানিসহ একাধিক ব্যক্তি নিহত হন।
গণমাধ্যমে উঠে এসেছে কাশেম সোলাইমানির ঘাতক মার্কিন অস্ত্রের নাম। সোলাইমানির গাড়িতে হামলা চালানো হয় অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ‘এম কিউ-নাইন রিপার’ থেকে।
মেইলের খবরে বলা হয়, শুক্রবার ভোররাতে বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত চারটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। বিমানবন্দরে দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে রকেটগুলো ছোড়া হয়।
Tracked for years…wiped out by a drone: How Qassem Soleimani was targeted by 230mph laser guided Hellfire missile fired from near-silent US MQ-9 Reaper drone after years of intelligence tracking his whereaboutshttps://t.co/DVFrOiTty7
— Kambree Kawahine Koa – Text EMPOWER to 88022 (@KamVTV) January 4, 2020
দুটি গাড়ির একটিতে ছিলেন কাশেম সোলাইমানি। আকাশ থেকে মার্কিন ড্রোনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ঘটে প্রবল বিস্ফোরণ। আর মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কাশেম সোলাইমানির। সোলাইমানির গাড়িতে ২৩০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা চালানো হয়।
মার্কিন বিমান বাহিনীর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যানুসারে, দ্য এমকিউ-৯ রিপারের উল্লেখযোগ্য উড়াল সক্ষমতা, ব্যাপক সেনসর, বহুবিধ যোগাযোগ সুইট ও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সক্ষমতা রয়েছে।
৯/১১ হামলার পর অস্ত্র হিসেবে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় সেটা আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ট্রাম্প সেটাকে বাড়িয়ে নতুন মাত্রা দিয়েছেন।