ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার পরেও যথা সময়ে সেটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) বিষয়টি না জানানোর জন্য তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি, যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি দোষ স্বীকার করায় স্থগিত থাকবে।
— ICC (@ICC) October 29, 2019
সাকিব আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (আকসু) কোডের অধীনে তিনটি ধারা লঙ্ঘন করায় এই শাস্তি পেয়েছেন। সেই তিনটি ধারা হল :
Read the full media release here ➡️ https://t.co/oNrhhE33NH pic.twitter.com/2gFpBStSd3
— ICC (@ICC) October 29, 2019
১) আর্টিকেল ২.৪.৪ – আকসুকে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরার ব্যর্থতা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ে ত্রি-দেশীয় সিরিজ /অথবা ২০১৮ আইপিএল সংক্রান্ত।
২) আর্টিকেল ২.৪.৪ – ২০১৮-র জানুয়ারিতে দ্বিতীয় প্রস্তাবের সময়ও তিনি আকসুকে পুরো তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়া।
৩) আর্টিকেল ২.৪.৪ – ২০১৮ আইপিএলের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচ চলাকালীন আকসুকে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে না ধরার ব্যর্থতা।
The Bangladesh Cricket Board (BCB) has noted the @ICC’s decision to ban @Sah75official from all cricket for two years, with one year of that suspended, for accepting three charges of breaching the ICC Anti-Corruption Code. https://t.co/swFpCTaoIm
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) October 29, 2019
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রিয় এই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে আমি খুবই দু:খিত। তবে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব তাৎক্ষনিকভাবে না জানানোর কারণে এই শাস্তি আমি সম্পুর্নভাবে মেনে নিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আইসিসি ও আকসু খেলোয়াড়দের উপরই সম্পুর্নভাবে নির্ভর করে। আর আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারিনি।
বিশ্বের অধিকাংশ খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মত আমিও চাই ক্রিকেট দুর্নীতিমুক্ত থাকুক। আমি আইসিসি ও আকসুর এই বিষয়ে শিক্ষামুলক কার্যক্রমের সমর্থনে কাজ করতে চাই, যাতে তরুন খেলোয়াড়রা আমার মত এমন ভুল না করে।’
এই শাস্তির ফলে সাকিবের পক্ষে আর আসন্ন ভারত সফরে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না ও আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না সাকিব। প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে না।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা অনুযায়ী, কোনও জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক কোনও প্রস্তাব পেলে যত দ্রুত সম্ভব আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হয়। এ ব্যাপারে প্রতিটি সিরিজ ও টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের ক্লাস নেওয়া হয়।
এরপরও কেউ জুয়াড়িদের প্রস্তাবের কথা না জানালে গুরুতর অপরাধ হিসেবে সেটা গণ্য হবে। শাস্তিও তাই গুরুতর। আইসিসির এই ধারা ভঙ্গের শাস্তি হতে পারে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।