ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে ফাইনালে নেমেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতো টাইগাররা। গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পুরোটাই খেলেছে দুর্দান্ত। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে এসে আর পারলো না। পাকিস্তান ইমার্জিং টিমের কাছে ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
🇵🇰 🏆
Pakistan are your champions of the #ETAC2019!
Mohammed Hasnain gets his third scalp as Bangladesh are bowled out for 224 to hand Pakistan a 77-run win!#ETAC2019 #BANvPAK pic.twitter.com/yMEKX2BFJE
— AsianCricketCouncil (@ACCMedia1) November 23, 2019
শনিবার সকাল ৯টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় ম্যাচটি। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম।
বল হাতে পাকিস্তান শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন পেসার সুমন খান। তার দাপুটে বোলিংয়ে দ্রুতই সাজ ঘরে ফেরেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার উমায়ের ইউসুফ (৪) ও হায়দার আলী (২৬)।
তবে এরপর দুই ব্যাটসম্যান রোহাইল নাজির ও ইমরান রফিক দুজন মিলে পাকিস্তানের ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন। দুজন মিলে গড়েন শতাধিক রানের জুটি। অবশ্য বাংলাদেশ বোলিংয়ে খুব একটা খারাপ করেনি।
রফিককে ৬২ রানে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন মাহেদি হাসান। তবে তার জায়গায় আসা পাকিস্তান অধিনায়ক শাকিল খেলেন অধিনায়কসূলভ ৪২ রানের ইনিংস। অপরপ্রান্তে নাজির তুলে নেন ব্যক্তিগত শতক। শেষদিকে বাট ও খুশদিলের ক্যামিওতে তিন শ রান পেরোয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সুমন খান তিনটি, হাসান মাহমুদ দুটি ও মাহেদি হাসান একটি উইকেট নেন।
৩০২ রান তাড়া করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সৌম্য সরকার ও নাইম শেখ। শুরু থেকেই বোলারদের উপর চড়াও হন সৌম্য। প্রথম পাঁচ বলেই হাকান ২ চার ও একটি ছক্কা। সৌম্য ঝড়ে দারুণ শুরুর আশা দেখেছিল টাইগার সমর্থকরা। তবে বেশিক্ষণ টিকলেন না তিনি। তৃতীয় অভারেই স্লিপে ধরা পড়েন। ৬ বলে ১৫ রান করেন এ ড্যাশিং ওপেনার।
সৌম্যের বিদায়ে ব্যাট চালাতে থাকেন আরেক ওপেনার নাইম শেখ। ষষ্ঠ ওভারে হাসনাইনের প্রথম বলে ছয় মেরে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভালো কিছুর। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ বলে ১৬ রান করেন নাইম।
এরপর শান্ত ও আফিফ কিছুটা চেষ্টা করলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য। শান্ত ৪৬ রানে ফেরার পর ৪৯ রানে ফেরেন আফিফ। শেষদিকে মাহেদি হাসান একা কিছুটা লড়াই করেন। তবে নবম উইকেট হিসেবে তার বিদায়ের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের হার। ৪২ রান করেন তিনি।
শেষ উইকেট হিসেবে হাসান মাহমুদ বোল্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মাতে পাকিস্তান দল। হাসনাইন নেন ৩ উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন সাইফ ও খুশদিল।
এ জয়ে প্রথমবারের মতো ইমার্জিং এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩০১/৬
নাজির ১১৩, রফিক ৬২
সুমন ৭৫/৩, হাসান ৫২/২
বাংলাদেশ: ২২৪
আফিফ ৪৯, শান্ত ৪৬
হাসনাইন ৩২/৩, সাইফ ২৭/২
ফলাফল: পাকিস্তান ৭৭ রানে জয়ী।