শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। তারপরও বুধবার ডাবলিনে আইরিশদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে করা ২৯২ রান ৭ ওভার আগেই মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে বাংলাদেশ।
Bangladesh won by 6 wickets against Ireland in the sixth match of Walton ODI Tri-Series 2019.#BANvIRE #RiseOfTheTigers pic.twitter.com/aQkb5Dyrwv
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) May 15, 2019
আগামী ১৭ মে ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে মাশরাফির দল।
ম্যাচে আবু জায়েদ রাহী পাঁচ উইকেটের পরও পল স্টারলিংয়ের সেঞ্চুরিতে আট উইকেটে ২৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আয়ারল্যান্ড। জবাবে তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২৯৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। রাহী ম্যাচ সেরা হন।
আইরিশদের দেয়া ২৯৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের ওপেনিং জুটিতে জয়ের ভিত পায় টাইগাররা। হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়েছেন দুই ওপেনারই। তারা ১১৭ রানের জুটি গড়েন। তামিম ক্যারিয়ারের ৪৬তম, লিটন দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন। তামিম ৫৭, লিটন ৭৬ রান করেন।
পেশীতে টান পড়ে অবসরে যাওয়ার আগে সাকিব ৫০ রান করেন। এটি তার ৪২তম হাফ সেঞ্চুরি। মোসাদ্দেক ১৪ রান করে ফিরলেও সাব্বিরকে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত ৩৫, সাব্বির অপরাজিত ৭ রান করেন।
এর আগে বুধবার টসে হেরে বোলিং করা বাংলাদেশের একাদশে ছিল চারটি পরিবর্তন। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে বোলিং, ফিল্ডিংয়ে নির্ভার ছিল টাইগাররা। ষষ্ঠ বোলার হিসেবে মাশরাফি বোলিংয়ে এসেছেন ২৯তম ওভারে। আয়ারল্যান্ডের বড় স্কোর ও স্টারলিংয়ের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের অবদানই বেশি। মোসাদ্দেকের করা ইনিংসের ২১তম ওভারে সাব্বির রহমান এবং পরের ওভারে সাকিবের বলে সাইফউদ্দিন ক্যাচ ফেলেন স্টারলিংয়ের।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৯ রানে দুই উইকেট হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ম্যাককুলামকে (৫) রুবেল, বালবির্নিকে (২০) রাহী ফেরান। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক পোর্টারফিল্ডকে নিয়ে ১৭৪ রানের জুটি গড়েন স্টারলিং। ৪৫তম ওভারে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রাহী। পোর্টারফিল্ড ৯৪ রান করেন।
১২৭ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন স্টারলিং।
অবশ্য স্বাগতিকদের রানটা ২৮০ তেই আটকানোর সম্ভাবনা ছিল। মাশরাফি, সাকিবের দুটি খরুচে ওভারে সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়। ৪৬তম ওভারে সাকিব ২৩ রান দেন। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরুচে ওভার। ৪৩তম ওভারে মাশরাফি দিয়েছিলেন ১৯ রান।
৪৭তম ওভারে পরপর দুই বলে কেভিন ও’ব্রায়েন (৩) ও স্টারলিংকে ফেরান রাহী। স্টারলিং ১৪১ বলে ১৩০ রান (৮ চার, ৪ ছয়) করেন। গ্যারি উইলসনকে (১২) আউট করে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই পাঁচ উইকেট পান রাহী। ৫৮ রানে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। বলা চলে, এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে তার খেলা নিয়ে সব সংশয় উড়ে গেল।
শেষ ওভারে মার্ক এডেইর (১১) ও ডকরেল (৪) সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ায় তিনশো পার হয়নি আয়ারল্যান্ডের স্কোর। সাইফউদ্দিন দুটি, রুবেল একটি করে উইকেট পান।