‘সুকন্যা’ মিমি চক্রবর্তীর স্বপ্নের পছন্দের প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বালিকা বিদ্যালয়গুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য একটি করে ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে করে ঋতুস্রাবের দিনেও মেয়েদের বিদ্যালয়ে যেতে অসুবিধে না হয়।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগণার আখড়া সন্তোষপুরের বনহুগলির একটি বিদ্যালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়। ১৬, ফেব্রুয়ারি, রবিবার ভেন্ডিং মেশিন বসোনোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।

সাংসদ তহবিলের টাকায় বনহুগলির বলরামপুর মন্মথনাথ হাই স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। ১০ টাকায় তিনটি প্যাড। ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই স্কুলে সহজলভ্য করা হয়েছে এই প্যাড। মেশিনে ১০ টাকার কয়েন দিলেই পাওয়া যাবে তিনটি স্যানিটারি ন্যাপকিন।

এদিকে পরিবেশন দূষণের কথাও মাথায় রেখে ব্যবহৃত প্যাড ‘ডাম্প’ করারও মেশিন রাখা হয়েছে। যা পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব। এছাড়াও এই মেশিনটি পুরোপুরি সৌরশক্তিতে চলবে।

মিমির সংসদীয় এলাকায় এই উদ্যোগে খুশি জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা। এজন্য এলাকার বিধায়ককে ধন্যবাদ জানান মিমি। আগামী দিনে আরো ৩০টি বিদ্যালয়ে বসানো হবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন।

প্রসঙ্গত, স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে এখনো ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানারকম অপপ্রচার রয়েছে। ন্যাপকিন ব্যবহারের সচেতনার অভাবে অনেক মেয়েদেরই কম বয়সে রোগের শিকার হতে হয়। অনেকেই আবার সে সমস্ত বিশেষ দিনগুলোতে স্কুলে আসতে চায় না। সেই জায়গা থেকেই মেয়েদের কথা ভেবে স্কুলে-স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর ‘সুকন্যা’ সংস্থা। আর রবিবার ওই স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন করেন যাদবপুরের সাংসদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here