বিশ্বকাপের কোনও আসরে এতদিন ভারতের বিপক্ষে জয় পায়নি পাকিস্তান। দুবাইতে মুখোমুখি হবার আগে বিশ্বকাপে গত ১২ ম্যাচে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে পরাস্থ করে ভারত। ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামরা যা করতে পারেনি, এবার বাবর আজমের নেতৃত্বে সেটিই করল পাকিস্তান।

দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে ১৩ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় পাকিস্তান।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির গতিতে তোপের মুখে পড়ে ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথমে রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান শূন্য রানে। আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলকে ফেরান ৩ রানের মাথায় বোল্ড করে।

মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া ভারত তৃতীয় উইকেট হারায় দলীয় ৩১ রানের মাথায় সূর্যকুমার যাদবের। যাদব ১১ রান করে বিদায় নেন হাসান আলীর বলে উইকেট রক্ষক রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দিয়ে।

তবে দলের বিপাকে হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিরাট একপাশ আগলে রাখলেও অন্যপাশের ব্যাটাররা থিতু হতে পারেননি। ঋষব পন্থ ৩০ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন শাদাব খানের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে ১৩ রানে হাসান আলী ও বিরাটকে ৫৭ (৪৯) রানে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ১১ রান, ভারত সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ১৫১ রান।

পাকিস্তানের পক্ষে আফ্রিদি ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন । এছাড়া ২ উইকেট নেন হাসান আলী এবং ১টি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও হারিস রৌফ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাবর-রিজওয়ান দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক। বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ রানে থেকে যান অপরাজিত। ১৭.৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫২ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তান।

এদিন ভারতের বিশ্বসেরা বোলিং লাইন-আপ চারটি করে ওভার করে ভরুন চক্রবর্তী ৩৩, রবীন্দ্র জাদেজা ২৮, মোহাম্মদ শামী দেন ৪২ রান। এছাড়া ৩ ওভার করে জসপ্রিত ভুমরাহ দেন ২২ রান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here