stroke silent in bathroom

প্রতিদিনই স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে হাজারো মানুষ। আপনার পরিচিত মহলে অনেকের মুখে শুনে থাকবেন তার পরিবারের কেউ হয়তো বাথরুমে স্ট্রোক বা হার্টএটাক করে মারা গেছেন (strokes happen in the bathroom)।

আরো পড়ুন:

স্ট্রোক কি?: মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার ফলে যে দ্রুত জটিলতার দেখা দেয় তাকে বলা হয় স্ট্রোক। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া মানেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যাওয়া। এর ফলে বেঁচে যাওয়া রোগী পঙ্গুও হয়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন কারণে বাথরুমে স্টোক হয়ে থাকে। রাতের বেলা একজন সুস্থ মানুষ হঠাৎই বাথরুমে গিয়ে মারা গেছেন। সম্প্রতি এক গবেষনায় বলা হয়েছে, যারা রাতে বা সকালে ঘুম থেকে খুব তাড়াহুড়া করে উঠে বাথরুমে যান সাধারণত তারাই এর ভুক্তভোগী হন। এ জন্য বেশ কিছু সচেতনতার কথা ও বলেছেন গবেষক দল।

রাতে বা ভোরে বাথরুমে যাওয়ার আগে কেন দেড় মিনিট সময় নেবেন: হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাৎ কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়। হুট করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার কারণে আপনার ব্রেইনে সঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, যার ফলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনাও।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, এবং এলকোহল গ্রহণ করার অভ্যাস রয়েছে , তাদের জন্য বাথরুমে স্ট্রোক করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ।

স্ট্রোক এড়াতে হলে:

  • প্রথমেই শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে হবে
  • প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার, সবজি ও ফল
  • সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৪৫ মিনিট, তা না হলে ৩০ মিনিট হাটতে হবে
  • ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে, ঝাল-মসলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতেহবে।
  • প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে
  • ধুমপান বন্ধ করতে হবে
  • নিয়ম করে প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে

দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে :

  • যদি হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন
  • হাত পা বা শরীরের কোনও এক দিক হঠাৎ অবশ লাগে
  • চোখে দেখতে বা কথা বলতে অসুবিধা হয়
  • ঢোক গিলতে কষ্ট হয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here