পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম, নিয়ত, নামাজ কয় রাকাত, দোয়া ও তাসবিহ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম, নিয়ত, নামাজ কয় রাকাত, দোয়া ও তাসবিহ / Photo Credit: Twitter

নামাজ ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) পড়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরয্‌। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি।

সালাহ শব্দের অর্থ কি?

“সালাহ” শব্দটি (এছাড়াও “সালাত” বা নামাজ বা নামায) মুসলমানদের নামাজের একটি অনুশীলনকে বোঝায়। দৈনিক পাঁচবার নামাজ একজন মুসলমানদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় কর্তব্য এবং ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের দ্বিতীয় হিসাবে বিবেচিত হয়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সারা দিন নির্দিষ্ট সময়ে কুরআন থেকে আয়াত পাঠ করে পড়তে হয় । সালাহকে মুসলমানদের একটি ধর্মীয় কাজ বলে মনে করা হয় যা আল্লাহর উপস্থিতিকে স্মরণ করে তাঁর সাথে একটি আধ্যাত্মিক সংযোগ বজায় রাখার একটি উত্তম উপায় হিসাবে কাজ করে।

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মেরাজের রাতে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং সেই সময় নবীজি তার উম্মতদের জন্য মহান সৃষ্টি কর্তার কাছ থেকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ হিসেবে আদায় করার নির্দেশনা লাভ করেন।

জেনে নিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত ও তাসবিহ

ফজরের নামাজ : প্রথমে দুই রাকাত সুন্নাত এবং পরে দুই রাকাত ফরজ।

আরও পড়ুন:

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কয় রাকাত ? 

  • ফজর- ২ রাকাত সুন্নত, ২ রাকাত ফরজঃ মোট ৪ রাকাত।
  • যোহর- ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নতঃ মোট ১০ রাকাত।
  • আসর- ৪ রাকাত ফরজ
  • মাগরিব- ৩ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত।
  • এশা- ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত, ৩ রাকাত ওয়াজিব।

অর্থাৎ মোট ৩২ রাকাত সালাত প্রতিদিন আদায় করতে হয়। এর মধ্যে ১৭ রাকাত ফরজ, ১২ রাকাত সু্ন্নত এবং ৩ রাকাত ওয়াজিব।

ফজরের নামাজ: প্রথমে দুই রাকাত সুন্নাত। এরপর দুই রাকাত ফরজ।

  • ফজরের সালাত আদায় করার সময়ঃ

    ফজরের সালাত পড়ার সময় ঊষা থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। সকাল বেলা সূর্যের আলো ফোটার আগ পর্যন্ত ফজরের সালাত আদায় করা যায়।

  • ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সালাত আদায় করার নিয়তঃ

  • নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ই’লা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
  • ফজরের দুই রাকাত ফরজ সালাত আদায় করার নিয়তঃ

  • নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ই’লা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

যোহরের নামাজ: প্রথমে চার রাকাত সুন্নাত। তারপর চার রাকাত ফরজ এবং এরপর দুই রাকাত সুন্নাত। কেউ কেউ সর্বশেষ দুই রাকআত নফল নামাজও পড়ে।

আসরের নামাজ :  চার রাকাত ফরজ। অনেকে আবার ফরজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়ে থাকেন । 

মাগরিবের নামাজ: এই নামাজে প্রথম তিন রাকাত ফরজ। তারপর দুই রাকাত সুন্নাত। এরপর কেউ কেউ সুন্নাতের পর দুই রাকাত নফল পড়ে থাকে। 

এশার নামাজ: কেউ কেউ ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করেন। এরপর চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়েন। ফরজের পর দুই রাকাত সুন্নাত। এরপর তিন রাকাত বিতর। অনেকে বিতরের পর দুই রাকাত নফলও নামাজ পড়ে থাকেন । 

নামায আদায় করার নিয়মঃ

সালাত আদায় করার জন্য সর্বপ্রথম নিয়ত করতে হয়। নিয়ত করে তাকবিরে তাহরীমা বলে পুরুষদের বা ছেলেদের নাভীর উপর এবং মহিলাদের বা মেয়েদের বুকের উপর হাত বাঁধতে হয়।

অতঃপর সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে কুরআনের অন্য যেকোনো একটি সূরা বা তার অংশবিশেষ পাঠ করতে হয়। অতঃপর রুকু করতে হয়।

রুকুতে ৩ বার বলতে হয়- সুবহানা রব্বিয়াল আযীম।

আবার উঠে দাঁড়িতে পড়তে হয়- সামিয়াল্লাহ্ হুলিমান হামিদাহ্, রব্বানা লাকাল হামদ্।

এবার আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ করতে হয়। সেখানে ৩ বার বলতে হয়- সুবহানা রব্বিয়াল আলা’। আবার উঠে বসতে হয়। আবারো সিজদাহ্তে গিয়ে বলতে হয়- সুবহানা রব্বিয়াল আলা’।

এরপর উঠে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়। আাবরো একই পদ্ধতিতে রুকু এবং সিজদাহ্ করতে হয়। এই ভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে হয়।

চার রাকাত সুন্নত নামাজের জন্য ২ রাকাত সালাত আদায় হয়ে গেলে সিজদাহ্ থেকে বসে, তাশাহহুদ (আত্তাহিয়াতু) পাঠ করতে হয়। এরপর উঠে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়। আাবরো একই পদ্ধতিতে রুকু এবং সিজদাহ্ করতে হয়। এই ভাবে চার রাকাত নামাজ আদায় করতে হয় । তবে, চার রাকাত ফরজ নামাজের জন্য পরের দুই রাকাতের জন্য শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হয়।

এবার, ৩ রাকাত  সালাত পড়ার সময় ২ রাকাত সালাত আদায় হয়ে গেলে সিজদাহ্ থেকে বসে, তাশাহহুদ (আত্তাহিয়াতু) পাঠ করে এক রাকাতের জন্য উঠে দাড়িয়ে কোনো সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে না। তবে যদি চার রাকাত নফল বা সুন্নত নামায হয়, তাহলে অন্য কোনো সূরা পাঠ করতে হবে।

তারপর, আপনি জায়নামাজে বসে আল্লাহর নামের জিকির, তাসবিহ পড়তে পারেন। মোনাজাত করতে পারেন। এভাবেই সালাত আদায় সম্পূর্ণ হবে।

নামাজের সানার অর্থ ও উচ্চারণ:

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শুরু করে (তাকবীরে তাহরীমার পর) বলতেন:

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالِىْ جَدُّكَ وَ لَا اِلَهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। (তিরমিজি, আবু দাউদ মিশকাত)

দোয়ায়ে কুনুত ইহা বিতরের নামাজে পড়তে হয়

اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা ওয়ানুমিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা আলা নাক ফুরুকা ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা বুদু ওয়ালাকা নুছালি্ল ওয়া নাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আজাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক।

অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি। তোমার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি, তোমার উপর ঈমান আনিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি তোমার গুণগান করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি। আমরা তোমাকে অস্বীকার করি না। যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব সংসগ্র পরিত্যাগ করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই খেদমতে হাজির হই এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চই তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ ভোগ করিবে।

বিশ্বনবী (সা:) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর যে দোয়া গুলো পড়তেন:

(১) রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্‌ বলতেন। (মুসলিম, ১২২২)

(২) তারপর “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – এটি পরতেন । (মুসলিম, ১২২১)

(৩) সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার) । আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার) । আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) । (লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর”) (১ বার) । এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।)
(মুসলিম, ১২৪০)

(৪) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো দূরত্ব থাকেনা।
(নাসাঈ)

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর যে তাসবিহ পড়া যায়ঃ

১. ফজরের নামাজের তাসবিহ

বাংলায়: (হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম)- তিনি চির জীবিত ও চিরস্থায়ী।

২. জোহরের নামাজের তাসবিহ

বাংলায়: (হুয়াল আলিইয়্যাল আজীম)- তিনি শ্রেষ্ট্রতর অতি মহান।

৩. আছরের নামাজের তাসবিহ

বাংলায়: (হুয়ার রাহমা- নুর রাহীম)- তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।

৪. মাগরিবের নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ

বাংলায়: (হুয়াল গাফুরুর রাহীম)- তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।

৫. এশার নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ

বাংলায়: (হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর)- তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।

এছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর যে তাসবিহ পড়া হয়

সুবহানাল্লাহ- ৩৩বার;
আলহামদুলিল্লাহ- ৩৩বার; এবং
আল্লাহু আকবার- ৩৪বার
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির – ১বার

উপরেল্লিখিত তাসবিহগুলো ছাড়াও প্রত্যেক নামাজের পর শ্রেষ্ঠ জিকির রয়েছে যা পড়তে পারলে খুব সওয়াব হয়। তবে, এই জিকিরগুলো দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে যে কোন সময় পড়া যায়। এখানে কোনটি কতবার পড়তে হবে এ বিষয়ে অনেক লেখা রয়েছে, তবে আপনি যতবার পড়তে চান, পড়তে পারেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্‌ বলেছেন, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৫)

নিয়ত কি?

নিয়াত (نية) একটি আরবি শব্দ যার অর্থ “ইচ্ছা” বা “উদ্দেশ্য।” ইসলামে, নিয়ত হল একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করা। এটি নামাজ, রোজা এবং দাতব্য সহ সমস্ত কাজের একটি অপরিহার্য অঙ্গ।

নামাজের সময় মনে মনে বা মৌখিক ঘোষণার মাধ্যমে নিয়ত করা হয়। যেমন, নামায পড়ার পূর্বে একজন ব্যক্তি এই বলে নিয়ত করবে যে, “আমি সকালের নামাযের দুই রাকাত পড়ার নিয়ত করছি।”

নামাজের নিয়ত করা কি বাধ্যতামূলক কিনা?

হ্যাঁ, ইসলামে নামাজের জন্য নিয়ত বাধ্যতামূলক।

নিয়ত হলো কোনো বিশেষ নামাজের নিয়ত করা। এটি নামাজের একটি অপরিহার্য অংশ এবং নামাজ শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই করা উচিত। নিয়ত মনে মনে, নিঃশব্দে বা উচ্চস্বরে মনোযোগ সহকারে করা জরুরী।

  • বিভিন্ন নামাজের নিয়ত করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফজর (সকালের নামাযের) নিয়ত হবে:

“আমি রাসুল (সাঃ) এর মাযহাব অনুসরণ করে ফজর (সকালের নামাযের) দুই রাকাত ফরজ আদায় করার ইচ্ছা করছি।”
অথবা

” আল্লাহর উদ্দেশ্যে/আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য/আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের/ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য আমি কেবলা মুখি হয়ে দাঁড়িয়ে ফজরের দুই রাকাত ফরজ আদায় করার ইচ্ছা করছি।”
অথবা

আরবিতে নিয়ত করতে হলে,
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ই’লা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

ইংরেজিতে নিয়ত করতে হলে,
“I intend to perform the two rak’ahs of the morning prayer, obligatory, following the madhhab of the Prophet (peace be upon him).”

নিয়ত যে কোন ভাষায় করা যায়, তবে অনেকেই বলেন কুরআনের ভাষা আরবীতে করাই উত্তম।

যদি কোনো ব্যক্তি নামায শুরু হওয়ার আগে নিয়ত করতে ভুলে যায়, তাহলে সে নামাযের সময় যেকোন সময় নিয়ত করতে পারবে, যতক্ষণ না সে পরবর্তী রাকাত শুরু করেন। যাইহোক, নামাজ শুরু হওয়ার আগে নিয়ত করা উত্তম, কারণ এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে যে আপনি কোন নামাজ পড়তেছেন।

নিয়ত নাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ইবাদতের কাজে মন ও হৃদয়কে ফোকাস করতে সাহায্য করে। এটি রাখা দরকার যে, নামাজে আমরা কেবল শারীরিক নড়াচড়াই করছি না, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের জন্যও চেষ্টা করছি।

আশা করি, লেখাটিতে সঠিকভাবে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ইমেইল অথবা কমেন্টস করে জানাবেন।  মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার তৌফিক দান করুন, আমীন।

6 COMMENTS

  1. […] পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলে ৭৯নং আয়াতের অর্থ এই যে, রাতের কিছু অংশ কোরআন পাঠসহ জাগ্রত থাকুন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তাসবিহ […]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here