যারা সামরিক শাসকদের গড়া রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছে, কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে ছিল বা মদদ দিয়েছে, তারা যেন কোনোদিন আওয়ামী লীগে যোগ দিতে না পারে, সেজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত শহীদদের স্মরণে এক আলোচনায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া তিনি বলেন, যখন দল ক্ষমতায় থাকে, তখন বিভিন্ন পক্ষ থেকে কিছু লোক ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিতে আসে। দলে যোগদানের পর তারা বিভিন্ন অঘটন ঘটায় ও অপকর্মের আশ্রয় নেয়। আর পরবর্তীতে এর দায় নিতে হয় দলকে
অনুপ্রবেশকারীদের অপকর্মের কারণে দলকে দুর্নামের মুখোমুখি হতে হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের অনুপ্রবেশকারীদের দলে না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা দলে এত ভালো ব্যবহার করে যে, আমাদের কোনো কোনো নেতা তার দল ভারী করার জন্য তাদেরকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের কাছে টেনে নেয়া দলের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ।
১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক শাসকদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যারা সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতায় আসে তারা গণতন্ত্র দিতে পারে না। তবে আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি রয়েছেন যারা সামরিক শাসন বা জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রের সন্ধান করছেন।’।
তিনি বলেন, ‘তাদের আমলে গণতন্ত্র শুধু মুখেই শোভা পেত। তখন কি দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হতো? যারা মার্শাল ল’ এর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে, তারা গণতন্ত্র দিতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষিত মানুষ আছেন যারা জরুরি অবস্থা বা সামরিক স্বৈরশাসকরা ক্ষমতা থাকার সময় গণতন্ত্র খোঁজেন। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বা গণতান্ত্রিক প্রবণতা যখন বিরাজ করে তখন ঐসকল বুদ্ধিজীবীদের কোনো মূল্য নেই। গণতান্ত্রিক সরকার তাদের ব্যবহার করবে না, তাতে যতোই তারা বুকে লিখে রাখুখ না কেন যে, ‘আমাকে ব্যবহার করুন।’ এরপরই তারা চেঁচিয়ে বলে যে দেশে গণতন্ত্র নেই।’