ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপরে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। এতে একাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর জখম হয়েছেন। এছাড়া অন্তত দশ রাউন্ড গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে চারটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। গুরুতর আহত হন একাধিক শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মসজিদগুলোতে মাইকিং করে স্থানীয়দের জড়ো করা হয়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘গেরুয়া এলাকার মেসে এখনও অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আটকা আছে। তাদের উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। তাই আমাদের সহপাঠীদের উদ্ধারের জন্য আমাদের মাঠে নামতে হচ্ছে।’

এদিকে ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলাকালে রাত আটটার দিকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা স্থানীয়দের কাছে জিম্মিরত আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়। এরপর সেই সূত্রে ধরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এছাড়া বহু শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার মেসগুলোতে আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা। অবস্থা ভয়াবহ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘গেইটের বাইরে আমার প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মীদের কিছু করার নেই। আমি পুলিশ পাঠানোর জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কথা বলতেছি। তোমরা (শিক্ষার্থীরা) মাথা ঠান্ডা রাখো। তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দাও।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here