ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আগুন লেগে ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং আরো ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছলে গতরাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়।

আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অন্যদিকে মালদ্বীপে সফররত প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ‘এমভি অভিযান-১০’ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঢাকা থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। রাতে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ভোর ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

উদ্ধার করা যাত্রীদের মধ্যে আগুনে দগ্ধদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‌‘নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পরে প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আহত-দগ্ধদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার।’

এ ছাড়া লঞ্চে আগুনের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here