‘মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দটির আগে ‘ভুয়া’ শব্দটি ব্যবহার না করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। যদি কেউ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ‘ভুয়া’ বলে সম্বোধন করলে তাদের তলব করা হবে।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ নির্দেশ দেয়।
এ সময় আদালতে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে আদালত বলেছেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে ‘ভুয়া’ বলে সম্বোধন করা যাবে না। যদি সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম এটা করে তাহলে তাদের তলব করা হবে।
আদালত আরো বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া হতে পারে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কখনো ভুয়া হতে পারে না। তাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শব্দের ব্যবহার করা যাবে না।
২০০২ সালের মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ৭ (ঝ) ধারা উল্লেখ করে আদালত বলেছে, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে কোনো ব্যক্তি যদি জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদ নিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে, তাহলে সেটা ওই ব্যক্তির অপরাধ বা দোষ।
“প্রয়োজনে সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার এ ভুলের কারণে সামগ্রিকভাবে সকল মুক্তিযোদ্ধার যে অবদান, যে সম্মান, সেটাকে কটাক্ষ করে ‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ ব্যবহার করা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন বৈ আর কিছু নয়।”