Thailand tour

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান মানুষ থাইল্যান্ড ভ্রমনে যান। ব্যবসা, চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের কাছে থাইল্যান্ড একটি আকর্ষণীয় দেশ (ค่าใช้จ่ายต่ำในประเทศไทย)। থাইল্যান্ডের দক্ষিনে মালেশিয়া, পশ্চিম-উত্তরে মায়ানমার, উত্তর-পুর্ব দিকে লাউস এবং দক্ষিন-পশ্চিমে কম্বোডিয়া।

আরো পড়ুন:

থাইল্যান্ডের ভিসা কিভাবে পাবেন (จะขอวีซ่าประเทศไทยได้อย่างไร) ?
থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে রয়্যাল থাই এমব্যাসিতে । সাধারণত তারা ৩ মাসের জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দেয় । তবে প্রয়োজন বশত তারা ৬ মাস বা ১ বছরের ভিসা দিয়ে থাকে ।

ভিসা আবেদনের জন্য যা যা লাগবেঃ

** কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ আছে এরকম পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের ফটোকপিও লাগবে
** সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ৩.৫ X ৪.৫ সে মি এর ২ কপি ছবি
** ব্যাংক সল্ভেন্সী সার্টিফিকে্মেন্ট
** ৬ মাস এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি ব্যাংকের সীল ও অফিসারের স্বাক্ষর করা)
** চাকুরীজীবীর ক্ষেত্রে এন ও সি সার্টিফিকেট ও অফিসিয়াল ভিজিটিং কার্ড
** ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে নোটারী করা ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি এবং অংশীদার হলে মেমোরেন্ডাম এর ফটোকপি
** থাই এমব্যাসি এর ভিসা ফি ও ট্যাক্স সর্বমোট ৩৪১১ টাকা । তবে মিডিয়া এর মাধ্যমে করলে ৪০০০ – ৫০০০ টাকা নেয় ।

ভিসার আবেদন জমা দেবার স্থানঃ

রোড#১৩৮, স্টার সেন্টার(২য় তলা)প্লট# ২/এ, ব্লক-এসই-সি, গুলশান-১, ঢাকা।

থাই দুতাবাসের ঠিকানাঃ ১৮-২০ মাদানী রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২ ফোনঃ ৮৮১২৭৯৫-৬, ৮৮১৩২৬০-১, ফ্যাক্সঃ-৮৮৫৪২৮০/৮৮৫৩৯৯৮

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দুতাবাসের ঠিকানাঃ  বাড়ি# ৭২৭, থংগলোর, সই-৫৫, সুলতুম্ভিট রোড, ব্যাংকক-১০১১০, থাইল্যান্ড। ফোনঃ- ৩৯২৯৩৭-৮, ফ্যাক্সঃ-৩৯১৮০৭০

যেভাবে যাবেন ?

বাংলাদেশ বিমান এবং ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স দিয়ে থাইল্যান্ডে যেতে পারবেন । এছাড়াও থাই এয়ার, ব্যাংকক এয়ার, মালেশিয়া এয়ার, চায়না ইস্টার্ণ, জেট এয়ার ও ইন্ডিয়া এয়ার ও আপনি যেতে পারেন।

পর্যটন মেলা, ঈদ, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স গুলো ভিসা ফি, ফ্রি বুকিং, টিকিটে ছাড়সহ আকর্ষণীয় প্যাকেজ দিয়ে থাকে। সেদিকে খেয়াল রাখতে পারেন ।

ঢাকা টু থাইল্যান্ড বিমান ভাড়া:
( Dhaka to Dhaka Ticket Price – ราคาตั๋วเครื่องบินธากาไปไทย )  

প্রথমত থাইল্যান্ডের টিকেট খরচ নির্ভর করে আপনি কোন বিমানে করে যেতে চান । বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে শুরু করে বিদেশী অনেক এয়ারলাইন্স রয়েছে । ১৪,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০০ টাকার উপরে টিকেটর দাম রয়েছে ।

সবচেয়ে ভালো হবে আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে এয়ারলাইন্স সিলেক্ট করুন এবং বিভিন্ন অফারের দিকে খেয়াল রাখুন । তবে ২-৩ মাস আগে টিকেট কেটে রাখলে দাম কিছুটা কম পাওয়া যায় ।

ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার বিমান ভাড়া বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:

  • যাত্রার সময়: উচ্চ চাহিদার সময় (যেমন ছুটির দিন বা উৎসবের সময়) ভাড়া বেশি হতে পারে।
  • এয়ারলাইন্স: বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এবং ভাড়া দেয়।
  • বুকিংয়ের সময়: আগে বুক করলে সাধারণত ভাড়া কম পাওয়া যায়।
  • ফ্লাইটের ধরন: সরাসরি ফ্লাইটের তুলনায় কানেকটিং ফ্লাইটের ভাড়া কম হতে পারে।

ভাড়া খুঁজে বের করার সহজ উপায়

  • অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি: গুগল ফ্লাইটস, স্কাইস্ক্যানার, কিডফারো, মাকমাইকিং ইত্যাদি ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান ভাড়া তুলনা করতে পারবেন।
  • এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট: ইউএস-বাংলা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বাংলা এয়ারলাইন্স ইত্যাদি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে সরাসরি বুকিং করতে পারবেন।
  • ট্রাভেল এজেন্সি: আপনার স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে হোটেল ভাড়া:

থাইল্যান্ডে বিভিন্ন মানের হোটেল পাওয়া যায়। ১০০০ টাকায়ও হোটেল পাওয়া যায় । তবে সবচেয়ে ভালো হবে, আপনার পরিচিত কেও ভ্রমণ করে আসলে তার কাছে হোটেল ভাড়া সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন ।

এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন হোটেল বুকিং এজেন্সী রয়েছে । তাদের ওয়েবসাইটে হোটেল ভাড়া জানতে পারবেন এবং বাংলাদেশের অনেক পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অল্প খরচে রিসোর্ট-হোটেল ভাড়া করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে ।

ব্যাংককের শপিং মল: শপিংপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গ

ব্যাংকক, থাইল্যান্ডের রাজধানী, শুধুমাত্র ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সুন্দর মন্দিরের জন্যই নয়, এর বিশাল ও বৈচিত্র্যময় শপিং মলগুলোর জন্যও বিখ্যাত। এই মলগুলোতে আপনি পাবেন বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় হস্তশিল্প, সবকিছু। আসুন জেনে নিই ব্যাংককের কিছু জনপ্রিয় শপিং মল সম্পর্কে:

বিলাসবহুল শপিং:

  • সিয়াম প্যারাগন: থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় এবং বিলাসবহুল শপিং মল। এখানে আপনি লুই ভুইটন, গুচ্চি, হারমেস সহ সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের দোকান পাবেন।
  • এমকোয়ারটিয়ার এবং এমপোরিয়াম: এই দুটি মল সিয়াম প্যারাগনের কাছে অবস্থিত এবং একই ধরনের বিলাসবহুল শপিং অফার করে।
  • আইকন সিয়াম: চাও ফ্রায়া নদীর তীরে অবস্থিত এই মলটি তার আধুনিক ডিজাইন এবং বিলাসবহুল দোকানের জন্য বিখ্যাত।

মধ্যম পর্যায়ের শপিং:

  • এমবিকে সেন্টার: ব্যাংককের সবচেয়ে জনপ্রিয় শপিং মলগুলোর মধ্যে একটি। এখানে আপনি সস্তা থেকে মধ্যম পর্যায়ের সব ধরনের পণ্য পাবেন।
  • দ্য প্লাটিনাম ফ্যাশন মল: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য স্বর্গ। এখানে আপনি সস্তায় ফ্যাশন পোশাক, জুতা এবং এক্সেসরিজ পাবেন।
  • সেন্ট্রাল ওয়ার্ল্ড: একটি বিশাল শপিং কমপ্লেক্স, যেখানে আপনি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় দোকান সবকিছু পাবেন।

স্থানীয় বাজার:

  • চাতুচাক উইকেন্ড মার্কেট: এশিয়ার সবচেয়ে বড় উইকেন্ড মার্কেট। এখানে আপনি হস্তশিল্প, কাপড়, খাবার এবং অনেক কিছু পাবেন।
  • প্রাতুনাম মার্কেট: পাইকারি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত।

থাইল্যান্ডের দর্শনীয় স্থান:

থাইল্যান্ডে আসলে দেখার মত অনেক জায়গা আছে । সে জন্য হাতে একটু লম্বা সময় নিয়ে যাওয়া ভাল । কারণ সেখানে আপনি যা দেখবেন তাই ভাল লাগবে। তারপর ও কিছু উল্লেখযোগ্য যা না দেখলে নয়ঃ-

  • পাতায়া বীচ
  • কোরাল আইল্যান্ড
  • ফ্লোটিং মার্কেট
  • সাফারী পার্ক
  • ফুকেট
  • ব্যাংকক এর শপিং মল (Siam center, MVK shopping Mall, Platinum 1 & 2)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here