দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সোমবার পদত্যাগ করেছেন। শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম ডেইলি মিরর অনলাইনের খবরে জানা যায় যে, রাজধানী কলম্বোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়।
Prime Minister Mahinda Rajapaksa resigns! @PresRajapaksa https://t.co/r6OO2wmLyl
— DailyMirror (@Dailymirror_SL) May 9, 2022
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে #MahindaRajapaksa এক টুইট বার্তায় নিজের পোদতেদের কথা ঘোষণা করেন।
Effective immediately I have tendered my resignation as Prime Minister to the President.
අගමැති ධූරයෙන් ඉල්ලා අස්වීමේ ලිපිය ජනාධිපතිතුමා වෙත යොමු කළෙමි.
— Mahinda Rajapaksa (@PresRajapaksa) May 9, 2022
এর আগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে রাজি করিয়েছেন ছোট ভাই দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর শ্রীলঙ্কাকে ৭ বিলিয়ন ডলার বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু দেশটির বৈদেশিক রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলারেরও কম।
চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের কারণে দেশটিকে ২০২১ সালের মে মাসে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তিন মাসের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ঋণ পরিশোধ করার কথা ছিল, কিন্তু তখনই শ্রীলঙ্কা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ে। এরপর বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
চরম আর্থিক সংকটে থাকা ভারত মহাসাগরীর এই দ্বীপ দেশটির আমদানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাদ্য, জ্বালানি, রান্নার গ্যাস এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসেরও সংকট শুরু হয়েছে।
මහින්ද රාජපක්ෂගේ දේශපාලන ගමන්මග
Mahinda Rajapaksa's political career pic.twitter.com/GEvJFB7AEH— BBC News Sinhala (@bbcsinhala) May 9, 2022
শ্রীলঙ্কা ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ফুরিয়ে গেছে, যার কারণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করতে পারছে না।
গত কয়েক মাস ধরে দেশটির হাজার হাজার মানুষ প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে।