চলে আসলো পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে ছোট বড় নারী পুরুষ ভেদে প্রায় সকল মুমিন মুসলমান রোজা রাখেন। রোজায় যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয়, তাই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।তাই রোজা রাখার পরও কিভাবে শরীর সুস্থ সবল রাখা সম্ভব হয়, তাই নিয়ে আজ আমাদের আয়োজন

আরও পড়ুন:

গুনাহ মাফের দোয়া, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

তারাবির নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত

সাইয়িদুল ইস্তিগফার, ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া

মহামারি থেকে বাঁচার দোয়া

  • রমজান মাসে অবশ্যই সেহেরি আর ইফতারে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। বিভিন্ন ফলের শরবতের পাশাপাশি, নানান জাতের আস্ত ফল খাবার অভ্যাস রাখতে হবে। এতে করে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিবে না।
  • ইফতার ও সেহরিতে ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে পানির পিপাসা বাড়ে। এ সময় ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়। তাই আদর্শ, সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে দেশি ফল, ফলের শরবত ও শাকসবজি খান।
  • ইফতারির সময় হালকা খাবার যেমন স্যুপ ও অন্যান্য হালকা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে খাদ্য তালিকায় কিছুটা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য রাখা যেতে পারে। সেই সাথে খেজুর, প্রচুর শরবত, দুধ, ফলের রস এবং মৌসুমী ফল দিয়ে তৈরী ডেজার্ট তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
  • রোজায় খাদ্য তালিকায় ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় খাবার রাখবেন না। চর্বিজাতীয় খাবার শরীরকে গরম করে। এতে শরীর থেকে পানি বের হয়ে গিয়ে পানিশূন্যতা তৈরি হয়।
  • মিষ্টি খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন জিলাপী। সারাদিন রোজা শেষে জিলাপী সুগার লেভেল দ্রুত বাড়িয়ে দিবে।
  • হজমে ঘুম অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তির প্রতিদিন ৫-৭ ঘন্টা টানা ঘুম প্রয়োজন। এজন্য চেষ্টা করবেন রাতে তারাবীহ্ নামাজের পর দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার।
  • রোজার সময় বেশ কয়েকবার দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস রাখতে হবে। সেই সাথে, ফ্লসিং করে, দিনে কয়েকবার হাত মুখ ওয়াশ করুন।
  • রোজায় চা, কফি, কোমল পানীয় পান করবেন না। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়িয়ে তোলে। এর ক্যাফেইন প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে খনিজ লবণ ও পানিস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে।
  • যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, পেপটিক আলসার ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন বিধি পুন:নির্ধারন করে নিন। রোজা রেখে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে, যেমনঃ অতিমাত্রায় দুর্বলতা, অসস্থি থাকলে সম্ভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অথবা ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করুন।

হঠাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে ইফতার করবেন না। বেশি ঠান্ডা পানি রক্তনালি সংকোচন বাড়িয়ে হজমে সমস্যা করে। এ সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here