বাজারে নকল দুধ ছেয়ে গেছে। আসল-নকলের ভিড়ে সব সময় দ্বিধায় ভোগেন ক্রেতারা। তাছাড়া আর একটি জটিল সমস্যা হচ্ছে দুধে পানি মেশানো। বিক্রেতারা দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করার কারণে এর আসল পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব হয় না।

দুধে প্রচুর পুষ্টি-উপাদান থাকে। ক্যালসিয়াম ছাড়া দুধের মধ্যে ফসফরাস, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। দুধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তাই দুধে পানি মেশানো কি না তা বুঝে নিন এই উপায়-

> সাধারণত এটি বুঝতেই পারা যায় না দুধে অন্য কোনো পদার্থ মিশ্রিত আছে কিনা। এটি পরিমাপ করার জন্য একটি যন্ত্র আছে যাকে ল্যাক্টোমিটার বলে। আপনি এই যন্ত্রটি নিকটস্থ বাজারে হাতের কাছেই পেয়ে যাবেন।

> ল্যাক্টোমিটার পানি এবং দুধের সঠিক ঘনত্ব পরিমাপ করে। ল্যাক্টোমিটার খুবই উপকারী একটি যন্ত্র। এই পরিমাপক যন্ত্রের মধ্যে লাল রেখা দেখা যায় যেখানে পরিমাপের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নম্বর দেয়া থাকে।

> যখন এই লাল রেখা ৩০ নম্বরে থাকে তার মানে হচ্ছে দুধে অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ খুব কম। যদি এই দাগ ৩০ এর উপর যায় তাহলে পরিমাপক যন্ত্র অনুযায়ী ১/৪ পানি, আরো উপরে গেলে অর্ধেক পানি অর্ধেক দুধ। লাল রেখাটি এর থেকেও উপরে যদি উঠতে থাকে তাতে বুঝা যাবে অল্প দুধ আর বাকিটুকু মিশ্রিত পানি।

> ধরুন আপনি একটি দুধের পাত্রে ল্যাক্টোমিটার যন্ত্রটি প্রবেশ করালেন যদি লাল রেখাটি ৩০ এর ঘরে থাকে তাহলে দুধে পানির পরিমাণ খুব সীমিত অথবা নেই। এ থেকেই বোঝা যায় দুধটি খুব শুদ্ধ এবং শরীরের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত।

নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলেই দুধের উপকারিতা পাওয়া সম্ভব না। দুধের সঠিক উপকারিতা পেতে প্রয়োজন খাঁটি গরুর দুধ। তাই সবার আগে খাঁটি দুধ খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here