শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যাভাস, ব্যায়ামের পাশাপাশি কিছু শরীরচর্চাও প্রয়োজন। এর মধ্যে হাঁটা, জগিং কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয়, মাংসপেশীর গঠন এবং ভারসাম্য দৃঢ় হয়। সেই সঙ্গে ক্যালরি ঝরার পাশাপাশি পেশি শক্ত থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন কাজে লিফট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে কয়েক বার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে হাঁটুর মাংসপেশী মজবুত হয়। এছাড়া আরও কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
১. সমতল ভূমিতে দৌড়ানো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশীগুলি বেশি সক্রিয় থাকে। অন্যদিকে সমতলে হাঁটার সময় শুধুমাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় হয়।
২. সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের পেশি, গোড়ালি এবং পায়ের টিস্যু শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে । এতে শরীরিক শক্তিও বাড়ে।
৪. সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটে। ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে ‘ভালো’ হরমোনের ক্ষরণ হয়। এতে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে মনও ভাল থাকে।
তবে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন-
১. মেরুদণ্ড সোজা রেখে সিঁড়ি ভাঙুন।
২. প্রথমেই খুব বেশি সিঁড়ি ভাঙবেন না।
৩. যে কোনও স্লিপার বা জুতা না পরে স্পোর্টস শু পরে সিঁড়ি ভাঙা অভ্যাস করুন। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[…] নিয়মিত সিঁড়ি ব্যবহারের যত উপকারিতা […]