আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আজ স্থাপন করা হতে পারে পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ স্প্যানটি স্থাপিত হলে প্রমত্ত পদ্মার দুই তীর মিলিত হবে। এপার আর ওপার মিলিত হবার সেই ক্ষণ আজ।

বাংলাদেশ ও চীনের পতাকায় সজ্জিত স্প্যানটি বুধবার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে সেতুর পিলারের কাছে নেওয়া হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি আজই স্প্যানটি বসানো সম্ভব হবে কিনা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘন কুয়াশার কারণে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সম্ভব না হলে কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর আগামী দু-একদিনের মধ্যে স্প্যান বসবে।

পদ্মা মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার ৪১তম অর্থাৎ শেষ স্প্যানটি ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে বসানো হবে। গতকাল ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান-ই’তে করে স্প্যান নেওয়া হয়েছে দুই পিলারের কাছে।

২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রায় সাত বছর কাজ এগোয়নি। স্থান নির্ধারণের পর অর্থায়ন জটিলতায় যায় আরও পাঁচ বছর। কথিত দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সেতু অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়।

ঠিক পাঁচ বছর পর সবক’টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়ার পথে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসেছিল। সেবার বড় আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে শেষ স্প্যান বসানোর কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। শুধু সেতুর কর্মীরা থাকবেন স্প্যান স্থাপনের কাজে। বাইরে থেকে কেউ স্প্যান স্থাপনে যোগ দিতে পারবেন না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও কেউ যাবেন না।

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপরের ডেকে চলবে গাড়ি, নিচের ডেকে ট্রেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্য থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা হয়নি। দুই দফা সময় বেড়েছে। নতুন লক্ষ্য আগামী জুনে কাজ শেষ করা। কিন্তু করোনা ও বন্যার কারণে তা হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ আশাবাদী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here