আর এই লকডাউনের মধ্যে আজ সকাল থেকে নগরীতে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। আর এই গণপরিবহন চলায় কিছুটা সস্তিতে অফিসগামী যাত্রীরা।

বুধবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর ১,২, ১০ নম্বর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী, কলাবাগান, ফার্মগেট, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকেই সড়কে সরকারি ও বেসরকারি মালিকানাধীন গণপরিবহনের পাশাপাশি প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করছে।

আরও দেখা গেছে, অফিসগামী মানুষ সকাল থেকেই তাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ বাস আসলে উঠে অফিসে যাচ্ছেন।

কথা হয় মিরপুর থেকে মতিঝিলে যাওয়া এক যাত্রী মোসাররফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, লকডাউনের শুরুতে খুব ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে আমাদের। অফিস খোলা কিন্তু পরিবহন চলাচল করছে না। এমন কোনো নিয়ম হতে পারে বলেন। গত দুইদিন অফিসে যেতে দেরি হয়ে গেছে। বাস নেই তাই রিকশা বা সিএনজিতে অধিক ভাড়া দিয়ে যেতে হয়েছে। আজ থেকে গণপরিবহন চলাচল করায় কিছুটা হলেও ভোগান্তি কমেছে।

ওপর এক যাত্রী বলেন, ‘বাসগুলোতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। তারপরেও আমাদের শান্তি কারণ বাস চলায় একটু দেরি হলেও বাসে যেতে পারছি নয়তো রিকশা ভাড়া দিতে দিতে পকেট খালি হয়ে যেতো।’

সকাল থেকেই দেখা গেছে, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বাসগুলোতে অর্ধেক যাত্রী আর ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নিয়েই চলাচল করছে।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা বাস্তবায়নে গত ৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে লকডাউন শুরু হয়। নির্দেশনা অনুসারে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া রাস্তাঘাটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু শুরুর দিন থেকেই রাজধানীতে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন পালিত হতে দেখা যায়।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় বুধবার (৬ এপ্রিল) থেকে সকাল সন্ধ্যা গণপরিবহন চলবে। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here