অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ। বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোচনা পর্ব থেকে সাজসজ্জা- বইমেলার সবকিছুতেই গুরুত্ব পাবেন বঙ্গবন্ধু। বইমেলা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এবার স্মরণকালের সবচেয়ে বড় আকারে বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেলার আয়তন সাড়ে আট লাখ বর্গফুট। মেলায় সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। যেখানে ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৈরি করা হয়েছে লিটল ম্যাগ চত্বর। একই স্থানে শিশু চত্বরও করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন শিশু প্রহর ঘোষণা হবে। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। মেলায় প্রবেশের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ছয়টি পথ থাকছে। সে সঙ্গে থাকছে লেখক বলছি, গ্রন্থ উন্মোচনের আয়োজন।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, গত বছর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক হাজার পুলিশ সদস্য। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারে। সে সঙ্গে আনসার সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে মেলা ১ দিন পিছিয়ে শুরু হলেও মেলার সময়সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আয়োজনের কারণে সোহরওয়ার্দী উদ্যান ৩ মার্চ ছেড়ে দিতে হবে।

করোনাভাইরাস আতঙ্ক প্রসঙ্গে ড. জালাল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের বিষয়ে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। আমাদের বৈঠকগুলোতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ঢাকার সিভিল সার্জন কার্যালয়ও আমাদের সাহায্য করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here