ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষার নম্বর বৃদ্ধি, এমসিকিউ ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর কমানো এবং বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা কেন্দ্র করাসহ বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলোর ডিনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার বিশেষ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
সভাসূত্রে জানা যায়, প্রতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষা ২০০ নম্বর হলেও এবার পূর্ণমান থাকবে ১০০। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক থেকে রেজাল্টের উপর ৮০ নম্বর থাকলেও সেটি কমিয়ে ২০ নম্বর করা হয়েছে। আর এমসিকিউ নম্বর ৭৫ থেকে ৩০ করা হয়েছে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকবে ৫০। সবমিলিয়ে ১০০ নম্বরের উপর ভর্তিচ্ছুদের মেধাক্রম তৈরি করা হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেবো। ডিনস কমিটির মিটিংয়ে সব ডিন এ মতামত দিয়েছেন। ডিসেম্বরের পরে এইচএসসি’র ফলাফল হলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনও ডিনই মতামত দেননি। তাই অনলাইনে পরীক্ষা না নিয়ে আমরা বরাবরের মতো ভর্তি পরীক্ষা নেবো। আমরা এসএসসি এবং এইচএসসি’র ফলাফল দেখে কী পরিমাণ নম্বর ধরা হবে, তা আরও মিটিং করে ঠিক করবো।’
প্রসঙ্গত, মূল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি’র রেজাল্ট হলেও এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা। উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় গত শনিবার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যুক্ত ছিলেন। অনলাইনে না প্রথাগত পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও পরে। তবে বেশিরভাগ মত পড়েছে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে আলোচনা করে।