বুধবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৩১ রানে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে পরাজিত করে. শুধু তাই নয়, ২০ ওভারে ২৭৭ রান করে ইতিহাস তৈরি করেছে প্যাট কামিন্সের দল। আর মাত্র ১৬ বলে ৫০ রান করে SRH-এর হয়ে দ্রুততম ফিফটি করার রেকর্ড গড়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে নেন অভিষেক শর্মা।
For his attacking record-breaking knock for @SunRisers, Abhishek Sharma receives the Player of the Match award 🏆
Scorecard ▶️ https://t.co/oi6mgyCP5s#TATAIPL | #SRHvMI pic.twitter.com/FmeklEiYSd
— IndianPremierLeague (@IPL) March 27, 2024
২৭৮ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ভালোমতোই এগিয়ে ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। প্রথম ১০ ওভারেই ১৪১ রান তুলে ফেলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রানের এই গতি ধরে রাখতে পারেনি তারা। ২০ ওভারে ২৪৬ রান করে পরাজয় মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
জয় পরাজয় যাই হোক, এই ম্যাচে দুই দলেরই অনেক রেকর্ড হয়েছে যা শুধুমাত্র আইপিএল নয়, বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
হায়দরাবাদ–মুম্বাইয়ের ম্যাচ তৈরি হওয়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড:
১। ২০২৪ সালের আইপিএলে অভিষেক শর্মা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ -এর হয়ে দ্রুততম ফিফটি:
- ১৬ বলে ৫০ রান করে SRH-এর হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড করেন।
- একই ম্যাচে হায়দরাবাদের ট্র্যাভিস হেড ১৮ বলে ৫০ রানের রেকর্ড করেছেন।
২। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করা দল হলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ:
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করা দল হলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (এসআরএইচ)। ২০২৪ মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে তারা অবিশ্বাস্য ২৭৭ রান করেছে। এটি আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এটি ২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) কর্তৃক করা ৫ উইকেটে ২৬৩ রানের পূর্বের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
৩। ৫২৩ রানের রোমাঞ্চ: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, ২০২৪
২০২৪ সালের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে ম্যাচটি ক্রিকেট বিশ্বে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। এই ম্যাচে দুই দল মিলে ৫২৩ রান করে, যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৭৭ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে। অভিষেক শর্মা ২৩ বলে ৬৩, হেনরিক ক্লাসেন ৩৪ বলে অপরাজিত ৮০, এবং ট্রাভিস হেড ২৪ বলে ৬২ রান করেন।
মুম্বাই তাদের জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে। ঈশান কিষাণ ১৩ বলে ৩৪ রান এবং তিলক বর্মা ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন।
৪। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ – SRH T-20 ক্রিকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর করেছে:
- ২০২৩ সালে নেপাল মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল।
- ২০১৯ সালে আফগানিস্তান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৮ করে।
৩৮টি ছক্কাঃ হায়দরাবাদে ছক্কার বৃষ্টি
হায়দরাবাদ–মুম্বাইয়ের ম্যাঁচে রেকর্ড রান তুলতে গিয়ে হায়দরাবাদে ছক্কার বন্যা দেখা গেছে। স্বাগতিক সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ইনিংসে ১৮টি ছক্কা হয়েছে, আর জবাবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মেরেছে ২০টি ছক্কা। ম্যাচে মোট ৩৮টি ছক্কা হয়েছে, যা কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার বিশ্ব রেকর্ড। ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল জাওয়ানানের ম্যাচে হয়েছিল ৩৭টি ছক্কা।
আইপিএল ইতিহাসে তিনটি ম্যাচে একই রেকর্ড ৩৩টি ছক্কা হয়েছে। এই ম্যাচগুলো হল:
১. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম চেন্নাই সুপার কিংস, বেঙ্গালুরু, ২০১৮
২. রাজস্থান রয়্যালস বনাম চেন্নাই সুপার কিংস, শারজাহ, ২০২০
৩. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম চেন্নাই সুপার কিংস, বেঙ্গালুরু, ২০২৩
হায়দরাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে বাউন্ডারির বন্যা!
গতকালের হায়দরাবাদ-মুম্বাই ম্যাচটি কেবল ছক্কার জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে না, বরং ম্যাচে মোট ৬৯টি বাউন্ডারি হয়েছে, যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ছক্কা: ৩৮
চার: ৩১
মোট বাউন্ডারি: ৬৯
অবশ্য ২০১০ সালে চেন্নাই ও রাজস্থানের ম্যাচেও সমানসংখ্যক (৬৯) বাউন্ডারি হয়েছিল। এই ম্যাচটি আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির ম্যাচ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।