ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কে কে (কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ) মঙ্গলবার কলকাতায় একটি লাইভ কনসার্টের পরে মারা গেছেন। পারফরম্যান্সের শেষ করে তিনি হোটেলে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এরপর তাকে সিএমআরআই (কলকাতা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বই হয়েছিল ৫৩ বছর।
কে কে-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেকে-র মৃত্যুতে আমি শোকাহত, সব বয়সের মানুষ তার গানের সঙ্গে যুক্ত। তিনি তার গানের মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। ঈশ্বর তার পরিবারকে শক্তি দিন।
ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার গুরুদাস কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করেন কেকে। রাত নয়টার দিকে মঞ্চ ছেড়ে ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছান এই গায়ক। সেখানেই রুমে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিল্পী। দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করা এই বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ইন্ডাস্ট্রিতে কে কে নামে পরিচিত। তিনি শুধু হিন্দি নয়, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি, বাংলা এবং গুজরাটি ছবির জন্যও গান গেয়েছেন।
১৯৯৯ সালে কেকে-র সোলো অ্যালবাম ‘পল’ মুক্তি পেলেও এর আগে থেকে তিনি জনপ্রিয় শিল্পী হয় উঠেন। ২০০০ সালে হাম দিল দে চুকে সানাম চলচ্চিত্রের ‘তাড়াপ তাড়াপ’ গানের জন্য সেরা প্লেব্যাক গায়কের জন্য গিল্ড ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পান।