Gazi-Mazharul-Anwar

পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার আজ সকালে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার ছেলে সারফরাজ আনোয়ার।

জানা গেছে, আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এরপর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। তার মেয়ে দিঠি আনোয়ার একজন কণ্ঠশিল্পী।

স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি এই গীতিকার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি অনেক চলচ্চিত্রের গান ও কালজয়ী দেশাত্মবোধক গান রচনা করেছেন।

এর মধ্যে রয়েছে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’সহ অসংখ্য গানের গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক তিনি।

১৯৬২ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার লিখেছিলেন প্রথম গান ‘বুঝেছি মনের বনে রং লেগেছে’। গানটির সুর করেছিলেন নাজমূল হুদা বাচ্চু ও শিল্পী ছিলেন ফরিদা ইয়াসমীন। ১৯৬৪ সাল থেকে গাজী মাজহারুল আনোয়ার তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

তিনি শুধু গীতিকারই নন, একজন সফল কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক।তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেশ চিত্রকথা থেকে ‘শাস্তি’, ‘স্বাধীন’, ‘শর্ত’, ‘সমর’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘স্নেহ’, ‘তপস্যা’, ‘উল্কা’, ‘আম্মা’, ‘পরাধীন’, ‘আর্তনাদ’, ‘পাষাণের প্রেম’, ‘এই যে দুনিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন তিনি।

গীতিকার হিসেবে তিনি পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে তার ঝুলিতে।

এছাড়াও তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here