গড়ে মিনিটে ৭০ বার হার্ট বিট (heart rate 70 beats per minute) সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখে। এর ব্যতিক্রম হলে অর্থাৎ অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিত রক্তসঞ্চালন হলে তখনই হার্ট এট্যাকের সম্ভাবনা দেখা দেয় ।
আরো পড়ুন:
- হৃদরোগ থেকে বাঁচতে দেবী শেঠীর কিছু পরামর্শ
- সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ঠিকানা ও ফোন নম্বর
- ব্যায়াম ছাড়া ৭ দিনে ওজন কমানোর সহজ উপায়
- বাথরুমে স্ট্রোক করে মারা যায় কেন ?
যদিও একেক জনের হার্ট এট্যাকের ভিন্ন ভিন্ন ধরন রয়েছে, তবুও
- বুকের মাঝখানে অথবা বামদিকে ব্যধা অনুভূত হলে এবং সেটা যদি হাত, চোয়াল, ঘাড় এবং পাকস্থলী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে
- বুক ধড়ফড় করা
- শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে যাওয়া
- চোখ ঝাঁপসা হওয়া
- বমি বমি ভাব
- শরীরকে খুব দুর্বল মনে হলে হার্ট এট্যাক হয়েছে বলে মনে করা হয়
হঠাৎ হার্ট এট্যাক হলে কি করবেন ? – What You Should Know – Sudden Heart Attack
যাদের হঠাৎ হার্ট এট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু নিয়ম জেনে রাখা উচিত।
- রোগীর শরীরের জামা শক্ত ভাবে পরিধান থাকলে তা আলগা করে দিতে হবে
- রোগীকে খোলা যায়গায় আলো বাতাস যুক্ত রুমে শুয়ে বিস্রাম করতে হবে
- ভয় না পেয়ে শান্ত থাকতে হবে
- যদি রোগী ঘেমে যায়, তাহলে অল্প ভিজা কাপড় দিয়ে রোগীর শরীর ভাল ভাবে মুছে দিতে হবে
সাধারনত হার্ট এট্যাকের ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি খুব দ্রুত এবং জোরে ঘন ঘন কাশি দিতে হবে যেন কাশির সাথে বেশী পরিমাণে কফ বা থুতু বের হয়ে আসে। প্রতিবার কাশি দেবার পূর্বে দীর্ঘশ্বাস নিতে হবে। এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঘন ঘন অর্থাৎ ২ সেকেন্ড পর পর কাশি এবং দীর্ঘশ্বাস দিতে হবে। দীর্ঘশ্বাস ফুসফুসের মধ্যে অক্সিজেন পেতে সাহায্য করে এবং কাশি বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় তা হৃৎপিণ্ডের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রাথমিক সেবা দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।