নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন জেসিন্ডা আর্ডেন। পুনর্নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ে এ পর্যন্ত ৪০ ভাগ ভোট গণনায় তার দল প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুবাদে জানা গেছে এ খবর । গত সেপ্টেম্বরেই এই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। খবর এএফপি, আল জাজিরার।

শনিবারের নির্বাচনে আর্ডেনের দল রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে সরকার গঠন করবে। সেরকম হলে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটাই হবে নিউজিল্যান্ডে প্রথম একক কোনো দলে নেতৃত্বে সরকার গঠন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আর্ডেনের লেবার পার্র্টি দেশটির অবিচ্ছিন্ন সংসদের ১২০ আসনের মধ্যে ৬৬ আসনে বিজয়ী হওয়ার পথে। ১৯৯৬ সালে দেশটিতে আনুপাতিক ভোটদান পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এটাই যে কোনো দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া। নির্বাচনে লেবাররা যদি অর্ধেকের বেশি আসন পায়, তাহলে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একক দল হিসেবে তারা সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে।

ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ভাষ্যকার ব্রাইস এডওয়ার্ড বলেন, এটা এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। গত ৮০ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ক্ষেত্র।

৫০ ভাগের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে লেবার পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বী জুডিথ কলিন্সের ন্যাশনাল পার্টির চেয়ে এগিয়ে আছে। ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ২৬ দশমিক ২ ভাগ ভোট। এ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবেলায় আর্ডেনের সরকারের দক্ষতাই তাকে ভোটের বাক্সে এই সাফল্য জুগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

লেবার এমপি ও অর্থমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসন বলেন, এভাবে যদি ভোট পড়ে তাকে, তাহলে এটা হবে বিশাল এক ম্যান্ডেট। আমাদের করোনা মোকাবেলায় জনগণ খুশি হয়েছে। তাই তারা দেশ পরিচালনায় আমাদেরই যোগ্য মনে করেছে। আমরা মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি।

রাজনৈতিক ওয়েবসাইট ডেমোক্রেটিক প্রজেক্টের রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিওফ্রে মিলোর বলেন, এটাকে দলের চেয়ে ব্যক্তির বিজয়ই বলা উচিত। জেসিন্ডা আর্ডেনের ব্যক্তিগত ইমেজই তাকে সাফল্যের চূড়ায় তুলে দিয়েছে।

অন্যান্য দলের মধ্যে লেবার পার্টির সরকারের বর্তমান অংশীদার জাতীয়তাবাদী নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টি মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here