আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য এখনও দুই মাস দশ দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে কাজে নেমে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রথমেই তিনি করোনাভাইরাস সংকট নিয়ন্ত্রণে হাত দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় যে বিপদের মুখে রয়েছে তার নাম করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন দেশটিতে এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এ ভাইরাসে। তাই বাইডেন এর লাগাম টানার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করতে চান। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

বাইডেন গতকাল একটি করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স চালু করেছেন। সাবেক সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি এবং খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের সাবেক কমিশনার ডেভিড ক্যাসলার এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকালই টাস্কফোর্সের ১২ সদস্যের নাম ঘোষণা করার কথা।

এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কভিড রোগীর সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাভাইরাস লকডাউন চলাকালে দেশটিতে প্রায় এক কোটি লোক চাকরি হারিয়েছে, তারা এখনও বেকার। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণ কর্মসূচির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।

তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, এ সংকটের দিকে কোনো মনোযোগই নেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির মিথ্যা দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এখনও পরাজয় স্বীকার করেননি তিনি। সার্বিক বিষয় নিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্পের কথা বলার কথা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়বেন ট্রাম্প। তিনি করোনা দমনে নিষ্ফ্ক্রিয়তা দেখালে রোগটি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। ফলে বাইডেন যখন ক্ষমতায় বসবেন ততদিনে রোগটি সর্বগ্রাসী হয়ে উঠবে।

সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। রোববার পুরো বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ কোটিতে পৌঁছানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা এক কোটি পেরিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে গত দশ দিনেই সেখানে দশ লাখের বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪২০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। গত সাত দিনের মধ্যে পাঁচ দিনই সেখানে লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here