Photo Credit: Collected

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে কমলা হ্যারিস বলেছেন, আমি এই অফিসের প্রথম নারী হতে পারি, কিন্তু শেষজন না। যেসব নারী ভোট দেওয়ার মতো মৌলিক অধিকারের জন্য লড়ছেন, আমি তাদের সঙ্গে আছি। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

নির্বাচিত হওয়ার পর শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনের মঞ্চ থেকে দেওয়া ভাষণে কমলা নারীদের নিয়েই বেশি কথা বলেন।

এই বিজয়ের পথ সুগম করে দেওয়ার জন্য নারীদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কমলা হ্যারিস। একইসঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের তিনি ‘আমেরিকার গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি তিনি ভুক্তভোগী নারীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাদা পোশাক পরে মঞ্চে এসেছিলেন।

মার্কিন রাজনীতিতে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ পদগুলো শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের হাতে। সেই প্রতিবন্ধকতা ভেঙে দিয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কমলা হ্যারিস। এর জন্য তিনি কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস জো বাইডেনের প্রশংসা করে বলেন, নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথমবারের মতো একজন নারীকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়ার ‘সাহস’ করেছেন। এ জন্য তিনি কৃতিত্বের অধিকারী। মূলত জো বাইডেন একজন লড়াকু ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তিনি পরীক্ষিত এবং অবিচল ব্যক্তিত্ব। তার অভিজ্ঞতা জাতিকে পুনরূদ্ধারে সহায়তা করবে।

৫৬ বছর বয়সী সিনেটর কমলা বলেন, গণতন্ত্র যখন ঝুঁকিতে, তখন ব্যালটের মাধ্যমে মার্কিন জনগণ দেশের জন্য নতুন দিনের সূচনা করেছে। আমাদের দেশ যারা সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছেন, সেই আমেরিকানদের ধন্যবাদ জানাই।

কমলা হ্যারিসের কথাগুলো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের আপ্লুত করেছিল। তারা কমলার জয় উদযাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। রাস্তায় বা পার্কগুলোতে এমনকি বাড়িতে কোনো টেলিভিশনের সামনে বসে জয় উদযাপন করছিলেন তারা।

নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টির জন্য আমি খুবই গর্বিত। একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী হতে পেরেও আমি গর্বিত।

তিনি বলেন, জানি সময়টা চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে গত কয়েক মাস। দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, উদ্বেগ ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা আপনাদের ধৈর্য, সাহস, সহনশীলতা ও সহানুভূতি দেখেছি।

চারদিনের টানটান উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জো বাইডেন। শনিবার পেনসিলভানিয়ার ২০ ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ায় জয় নিশ্চিত হয় তার।

জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোটের চেয়ে ২০ ভোট বেশি পেয়েছেন বাইডেন। ৫৩৮ ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ২৯০ ভোট। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ভোট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here