এজবাস্টন টেস্ট দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মাঠে গড়িয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৭১তম অ্যাশেজ সিরিজ। ১৮৮৩ সালে ক্রিকেটের প্রাচীনতম দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে মর্যাদার এই দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল। তারও আগে এই দুটি দলই ইতিহাসের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল ১৮৭৭ সালে।
১৪২ বছর পর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার আরেকটি ম্যাচ দিয়ে নতুন আঙ্গিকে পথ পরিক্রমা শুরু হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের। এ ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে প্রথমবারের মতো নাম ও নম্বর সংবলিত জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছেন ক্রিকেটাররা। তা নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দুই দলই।
THE ASHES STARTS TODAY!! 🏴🇦🇺
🏏 First @Specsavers Ashes Test
🆚 Australia
⏰ 11am (UK)
📍 @Edgbaston
📺 @SkyCricket
📻 @bbctms
#️⃣ Ashes
📲 https://t.co/Cy7s2sdK9zPredictions? pic.twitter.com/M0RQfXWp4H
— England Cricket (@englandcricket) August 1, 2019
ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৯৯২ সালের আগে ছিল না ক্রিকেটারদের জার্সিতে কোনো নাম ও জার্সি নম্বর। টেস্টের মতো ওয়ানডে খেলা হতো সাদা জার্সিতে। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নাম লেখা রঙ্গিন জার্সি পরে মাঠে নামে দলগুলো। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে জার্সিতে যোগ হয় নম্বর।
এই ম্যাচটা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে আরও দুটি কারণে। প্রথমত, টেস্ট ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রথমবারের আয়োজিত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠেছে অ্যাশেজ সিরিজের এ ম্যাচ দিয়ে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা নয়টি দল নিজেদের মধ্যে ২৭টি সিরিজে মোট ৭১টি টেস্ট খেলবে। এরপর ২০২১ সালের জুনে পয়েন্ট তালিকার সেরা দুটি দল লর্ডসে খেলবে ফাইনাল।
দ্বিতীয়ত, বল লেগে কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে তার জায়গায় বদলি খেলোয়াড় নামানোর পদ্ধতি চালু হচ্ছে এজবাস্টন টেস্ট থেকেই। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগে ফিলিপ হিউজ মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যাওয়ার পর এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।