সৌদি আরবে ১ লাখ ২০ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকেরা। গবেষকেরা বলছেন, উত্তর সৌদি আরবের নেফুদ মরুভূমিতে প্রাচীন পূর্বপুরুষদের ওই পায়ের ছাপের খোঁজ তাঁদের চলাচলের নতুন পথ সম্পর্কে নতুন তথ্য দিতে পারে।
Human and animal footprints dating back 120,000 years have been found in the province of Tabuk, north-western Saudi Arabia. https://t.co/TZ4thL6YQO
— Gulf News (@gulf_news) September 17, 2020
যেখানে পায়ের ছাপ মিলেছে, সেখানে একটি অগভীর হ্রদে হোমো সেপিয়েন্সের একটি ছোট্ট দল পানি পান করার জন্য থামত।
মানুষের পায়ের ছাপের সঙ্গে ২৩৩ জীবাশ্ম উদ্ধার করেছেন তারা। এ থেকে বোঝা যায়, এখানকার তৃণভোজীরা মাংসাশী প্রাণীর শিকার হয়েছিল।
এই পায়ের ছাপ পাওয়ার স্থানটিতে একটি অগভীর হ্রদে হোমো সেপিয়েন্সের একটি ছোট দল পানি পান করার জন্য থামত। সেখানে এখনকার প্রজাতির উট, মহিষ বা হাতির তুলনায় বড় বড় প্রাণীর চারণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পায়ের ছাপ পাওয়া ওই মানুষেরা বড় বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী শিকার করত। তবে তারা বেশি দিন এক স্থানে থাকতেন না। তাদের দীর্ঘ যাত্রাপথের নির্দেশক হিসেবে পানির এসব গর্ত ব্যবহার করতেন।
‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ সাময়িকীতে বুধবার এই গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রান্তে পূর্বপুরুষদের ছড়িয়ে পড়ার পথের নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।
গবেষকরা গত দশক থেকেই বলে আসছেন, সৌদি আরবের পরিস্থিতি সবসময় একরকম ছিল না। প্রাকৃতিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক সবুজ এবং আর্দ্র অবস্থায় ছিল। শেষ ইন্টারগ্লেসিয়াল যুগে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।
হেরিটেজ অথরিটির প্রধান নির্বাহী ড. জাসের আল হারবিশ বলেছেন, তারা মানুষের সাতটি, উটের ১০৭টি, হাতির ৪৩টি এবং অন্যান্য প্রাণীর পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়েছেন। এছাড়াও ওই টিম হাতির ২২৩টি ফসিল এবং গেজেল বোন পেয়েছে। শিকারি পশুর অস্তিত্বও পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত দশক থেকেই গবেষকেরা বলে আসছেন যে- সৌদি আরবের পরিস্থিতি সব সময় একরকম ছিল না। প্রাকৃতিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক সবুজ এবং আর্দ্র অবস্থায় ছিল। শেষ ইন্টারগ্লেসিয়াল যুগে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।